বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ইতিহাস কথা বলে

ইতিহাস বলে জামাতের অস্তিত্ব, বিস্তার ও বিন্যাস সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভরশীল। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব ও ইয়াহিয়ার পা-চাটা দলটি ’৭১ নগ্নভাবেই মাঠে নেমেছিলো গণহত্যা ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে। স্বাধীনতার পর নিষিদ্ধ জামাতের ফের উত্থান জিয়ার সামরিক সরকারের আমলে। পাকিস্তানের নাগরিক হয়েও গোলাম আযম সে সময় জামাতকে পরিচালনা করে একে ছড়িয়ে দেয় গোটা দেশে। এরশাদের সেনাআমলেও রমরমা ছিলো তাদের অবস্থান। একইভাবে সেনানিবাস থেকে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের দারুণ মিত্র। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই তারা মরিয়া হয়ে শরণ নিয়েছে সেনাবাহিনীর। তাদের নানা ভাবে উস্কানোর চেষ্টা করেছে সরকারের বিরুদ্ধে। নিজেদের এজেন্ট দিয়ে সরকারী ছাত্রসংগঠনের মাধ্যমে তান্ডব হত্যাকাণ্ড, বিডিআরে বিদ্রোহের মাধ্যমে সেনাঅভ্যুথানের অপচেষ্টা, ভারতবিরোধী নানা প্রচারণা জারি রেখেছে তারা। গোলাম আযম গ্রেফতারের পর এবার আরো সরাসরি মাঠে নেমেছে জামাত, তবে এ কাজে ব্যবহার করছে সহযোগী সংগঠন হিজবুত তাহরীরকে। মূল জামাতের ফান্ডে ইরানী টাকা আসা শুরু করার পর এবং সৌদিরা বিরক্ত হওয়ায় নতুন ফ্রন্ট খুলে তারা হিজবুত তাহরীর নামে যার রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বাছাই করা নেতাকর্মীরাই। গোটা রাজধানী তারা ছেয়ে ফেলেছে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দখলের আমন্ত্রণ জানিয়ে। আরেকটি ২৫ মার্চ, আরেকটি ১৫ আগষ্ট ঘটিয়ে সেনাবাহিনীর কাধে চড়ে এই দেশ থেকে চীরতরে বাঙালী জাতীয়তাবাদীদের এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের নির্মূলের নীলনক্সাটা খোলাখুলি জানান দিচ্ছে তারা ওয়ালে সেঁটে। মুসলিম দেশগুলোর প্রতি গোলাম আযমের ছেলের আবেদন জানানো ভিডিওতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে জামাত অভ্যুথানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা নিচ্ছে। যাতে হয়তো নেতৃত্ব দেবে সেনাবাহিনী থেকে অপসারিত গোলামের ছেলে বিগ্রেডিয়ার (অবঃ) আজমী, যেমন দিয়েছিলো ডালিমরা ‘৭৫এ। শোনা যাচ্ছে জঙ্গীরা বাংলাদেশে আসছে সেনাপোষাক পড়ে এই অভ্যুথানে অংশ নিতে।
সরকার কি সজাগ? সেনাবাহিনী কি পা দেবে তাদের ফাঁদে? জনগণ কি মেনে নেবে এমন কোনো গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রম? সময় সেটা বলে দেবে। তবে ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান, যুদ্ধাপরাধীরা মরণ কামড় দেবেই।

Courtesy- Omi Rahman Pial

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন