বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

প্রজন্ম চত্বর নিয়ে দুটি কথাঃ

শাহবাগের নতুন নাম দেওয়া হয়েছে "প্রজন্ম চত্বর"।। এই প্রজন্ম চত্বর নিয়ে দুটি কথাঃ

সকাল থেকেই একটা নিকৃষ্ট সম্প্রদায় আজ শাহবাগকে কলঙ্কিত করার জন্যে জনসমর্থনের অভাবে একটা কুৎসিত পথ অবলম্বন করেছে। এরা আমার মা বোনকে পতিতা আখ্যায়িত করে চলেছে। বলছে, রাত ব্যাপী নাকি শাহবাগে মদ জুয়ার আসর বসেছে !!! নাচ গানের আসর বসেছে...!! জাগরণমূলক গান গুলো নিয়ে এদের প্রচন্ড মাথা ব্যাথা... কিন্তু কেন?? জানেন কি??

যারা মুক্তিযুদ্ধের উপর ডকুমেন্টারি তারেক মাসুদের "মুক্তির গান" দেখেছেন তারা নিশ্চয় এটা উপলদ্ধি করতে পেরেছেন যে , আমাদের মুক্তিযুদ্ধে গানের ভুমিকা টা কতোটা ছিল।।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে নিরস্ত্র বাঙালির প্রধান অস্ত্র ছিল সংস্কৃতি, যে সংস্কৃতির প্রধান অংশ ছিল ভাষা, যার মুখ্য অঙ্গ ছিল গান।। জাগরণমূলক গান...। একদল তরুন মুক্তিযুদ্ধের সময় গান ফেরি করে বেড়াতো... 'বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা' নামের দলের এই সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থীদের দেশাত্মবোধক ও সংগ্রামী গান শুনিয়ে উজ্জীবিত করতেন। ১৯৭১ সালে এই শিল্পীদের সাথে থেকে মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা লিয়ার লেভিন প্রায় ২০ ঘণ্টার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। সেখান থেকেই সৃষ্টি মুক্তির গান ও মুক্তির, স্বাধীনতার। তাই স্বভাবতই ৭১ এর পরাজিত শক্তি এসব গানকে চরম ভাবে ভয় পায়...

তাই তারা আজ নিকৃষ্ট পন্থায় অপপ্রচারে নেমেছে।। এরা যে মুখে কোরআন হাদিসের কথা বলে, সেই মুখেই ব্যাপক হারে উচ্চতর মাত্রায় গালাগালি করতে পারে !!! এরা ধর্ষণের বিচারে গর্দান ফেলে দেওয়ার পক্ষপাতী কিন্তু একই সাথে তাদের নেতাদের ধর্ষণ কর্ম অস্বীকার করে হরতাল ডাকে...এদের হাতে না নিরাপদ ইসলাম, না বাংলাদেশ...

সময় এখন গর্জে উঠার।। "প্রজন্ম চত্বর" কে আরেকটি স্বাধীনতার সূর্য উপহার দেওয়ার...

আর এই ছাগু সম্প্রদায় এতটাই জঘন্য কাজ করে চলেছে যে, এদের জন্যেএই বাংলার "কাঁঠাল পাতা" ও হারাম ঘোষণা করলাম।। তোদের আর কাঁঠাল পাতাও চিবাতে দেবো না......

লেখাঃ A N Faisal Ahmed

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন