বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

কিছু প্রশ্ন :

১. আপনাদের দাবী কি?
সকল যুদ্ধাপরাধী রাজকারদের ফাঁসী, যারা একাত্তরে খুন ধর্ষণ করেছে লাখো বাঙ্গালীকে। আর এই ফাঁসীর দাবীতে ট্রাইবুন্যাল হতে শুরু করে সকল পক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ, যাতে এই নিয়ে রাজনীতির কোনো অবকাশ না থাকে। এই দাবী ভিন্ন অন্য কোনো দাবী নেই। ট্রাইবুন্যালের বিরোধীতা করাও আমাদের উদ্দেশ্য নয়। দাবী একটাই, সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসী নিশ্চিত করতে চাই।

২. আপনারা কারা?
আমরা সবাই সাধারণ মানুষ। আমাদের মধ্যে কোনো দল নেই, ধর্ম নেই বর্ণ নেই। নিজের বিবেকবোধ থেকে দায়বদ্ধতা থেকে আমরা আজ বিচারের পক্ষে, শহীদদের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াতে।

৩. তাহলে একাধিক মন্ত্রী, রাজনীতিবিদকে যে দেখলাম বক্তব্য দিতে?

এতেই প্রমাণ করে আমাদের আন্দোলনের সফলতা। আমাদের তরুণদের ক্ষমতার প্রকাশ হলো এর মাধ্যমেই। সরকারের মন্ত্রী হতে শুরু করে সকল রাজনৈতিক দল আমাদের দাবীর সাথে একমত পোষণ করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা বুঝতে পারছে নতুন প্রজন্ম এই বিচার নিয়ে সিরিয়াস আর এই নিয়ে অবহেলার সুযোগ নেই। আর এই ফাঁসীর দাবী জনগণের দাবী, তাই যে কেউ এর সাথে একমত পোষণ করে যোগ দিতে পারে, তা সরকারী দল হোক বা বিরোধীদল হোক। যে মা তার শিশুকে নিয়ে এসেছে, যেই ভাই তার বোনকে নিয়ে এসেছে তারা কোনো রাজনৈতিক দাবীতে আসেনি, বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াতে এসেছে।

৪. পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
রাজপথ ছাড়া যাবেনা। পরবর্তী রায় যাতে আমাদের পক্ষে আসে তার নিশ্চয়তা অর্জন করতে হবে। তাই আগামীকাল বৃহস্পতিবারও আন্দোলন চলবে। শুক্রবার হবে লাখো মানুষের মহাসমাবেশ।

৫. সব বুঝলাম। আমার দায়িত্ব কী?

আপনি কি বাঙ্গালী হিসেবে গর্বিত? ত্রিশ লাখ শহীদের আর্তনাদ কি আপনি শুনতে পান? আপনি কি দুই লক্ষ মা-বোনের ধর্ষণের বিচার চান? তবে চলে আসুন রাজপথে, কীবোর্ড চাপার দিনশেষ। এই ম্যাসেজ ছড়িয়ে দিন সবখানে। ঢাকার বন্ধুরা শাহবাগে, চট্রগ্রাম সিলেটের বন্ধুরা আসুন শহীদ মিনারে আর অন্যান্য জেলার বন্ধুরা নিজ নিজ জেলার গুরত্বপূর্ণ পয়েন্ট কব্জা করুন। আন্দোলন চলছে, চলবে। আসতে না পড়লে অন্তর এই ম্যাসেজটি ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।

মিষ্টী কথায় ভুলবোনা
রাজপথ ছাড়বোনা।
ফাঁসী ফাঁসী ফাঁসী চাই
ফাঁসী ছাড়া উপায় নাই।
জামায়াত শিবির রাজাকার
এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়।


Copy : মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন [A Page totally based on liberation war'71]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন