বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

বীরাঙ্গনা মায়েদের সম্পর্কে বলছি !

আজ আপনাদের কিছু বীরাঙ্গনা মায়েদের সম্পর্কে বলছি ! ভুল হলে ক্ষমা করবেন ! নতুন কিছু জানলে শেয়ার, ট্যাগ দিয়ে মানুষকে জানাবেন ! ধন্যবাদ .!.


জামালপুরের মালেকা --

বাইরে থাকা মিলিটারি ও রাজাকারদের এক রাজাকার বলে,স্যার,বকাবকি,মারামারি করে কি লাভ।তার চেয়ে ভাল স্যার শুরু করেন আনন্দ।আমরা তো আর অপেক্ষা করতে পারছি না।এসব ব্যাপারে কি তর সয়,শুরু করেন।এসব বাজে বাজে কথা বলতে বলতে আরো দুই জন ঘরে ঢুকে।তাদের একজন আমাকে শুইয়ে দেয়।এক মিলিটারির উপর আমি পড়ি।তখন সে হু হু করে হাসছে আর বলছে,ভাল হয়েছে,খুব ভাল,চল একসঙ্গে শুরু করা যাক।আমি নিচে আর আরেকজনকে উদ্দেশ্য করে বলছে,তুমি উপরে শুরু কর,জমবে খুব।তারা এইসব বলছে,করছে আর আমি বারবার পড়ে যাচ্ছি।তখন আরো দুই জন এসে আমার দু'টি পা দুই দিকে টেনে ধরে।আর বাকি দুইজন আমাকে ধর্ষণ করছে।এইভাবে পালটিয়ে আমাকে ধর্ষণ করছে।তাদের আনন্দ তাদের মজা দেখে কে?যে দুই জনের শেষ হয় তারা বাইরে গিয়ে পাহারা দেয়।বাকি দুই জন আসে আর দুই জন পা ধরে রাখে।

এইভাবে আমাকে প্রায় দুই তিন ঘন্টা একটানা ধর্ষণ করে।যারা রাজাকার ছিল তারা একবার ধর্ষণ করেছে।কিন্তু মিলিটারিরা করেছে দুই-তিনবার করে।



তারপরেই শুনুন রেশমীর গল্প --

সে ধরা পড়ে আমার আগে।একদিন রাতে সে বলছে,তার শরীরটা নাকি খারাপ লাগছে।তারপরও সারারাত ধরে চলেছে অত্যাচার।সকালে বলেছে,তার খুব খারাপ লাগছে।তারপর আবার একসঙ্গে এসেছে কয়েকজন তার কাছে।সে দেখেই কাঁপতে লাগছে,তার কাপুনি দেখ এঐ কুত্তাগুলো হা হা করে হাসছে।আর শুরু করলো তাদের কাজ।এক জন তো নয়,একসঙ্গে সকলে খাম খাম শুরু করল।কার আগে কে।এক জন আসলে আরেক জন টানাটানি শুরু করছে।এক পর্যায়ে একজন এসে তার মুখের মধেয় শুরু করল।সে তখন সহ্য করতে না পেরে দিয়েছে কামড় বসিয়ে।তারপর,তারপর মনে হয়েছে জ্বলতি আগুনের মধ্যে ঘি ঢেলে দিয়েছে।ঐ কুত্তাটা তো চিল্লাচিল্লি শুরু করল।তারা সকলেই ছুটে চলে আসছে।ঐ ক্যাম্পে অন্তত তিনশ জন ছিল।পালা করে একজনের পর আরেক জন আসছে আর তাদের ইচ্ছামতো খায়েশ মিটাচ্ছে।কিছুক্ষণ পর্যন্ত তার উ আস শব্দ শুনেছি মাঝে মাঝে।তারপর কোন এক সময় যে সে চুপ হয়ে পড়েছে কে জানে।ওদের কাজ শেষ হওয়ার পরে দেখি,তার চারপাশে তাজা লাল টকটকে রক্ত,মনে হয় গরু জবাই করেছে।কি জানি একটা ছিড়ে গিয়েছিল তার,আল্লাহ জানে।এই যে রক্ত পড়া শুরু হয়েছে আর থামে না।মানুষের শরীরে যে এত রক্ত থাকে আমার জানা ছিল না।তাও আবার মেয়ে মানুষ।তার পর তাকে বাহির করে ফেলে দিয়েছে।


কষ্ট করে চুমকির গল্পটা একটু শুনুন --

একজন তার কাছে গিয়ে লাথি মেরে ফেলে দেয়।আরেক জন বাইরে যায়।বাহির থেকে একটা চাকু নিয়া চুমকির কাছে যায়।তখন একজন তার বুকের উপর মানে দুই দুধের উপর দুই পা দিয়া দাঁড়ায়।আরেকজন তার জিহ্বাটা টান মাইরা বাহির করে কেটে ফেলে।তারপর কাটে তার দুধ দুটা ,তারপর গোপন অঙ্গ।সব কাটছে আর আনন্দ করছে যেন কত মজা পাচ্ছে।কাটা দুধ দুটা দুজনে নিয়ে খাচ্ছে,আর এমন ভাব করছে যেন কত মজা পাচ্ছে।আর গোপনাঙ্গটা কেটে তাদের শরীরে মাখাচ্ছে।এদিকে রকের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। ... যাবার সময় এক শয়তান মনে করেছে চুমকি মারা যাচ্ছে।তখন তার মুখে পানির বদলে প্রস্রাব করে দিল। ... তাও চুমকির মরণ হলো না,বেঁচে আছে।যতদিন বেঁচেছিল ততদিন আর কোন কথা বলতে পারেনি।আমরা মাঝে মাঝে পানি দিতাম মুখে।শুধু দু'চোখে টগবগ করে তাকিয়ে থাকত,আর দু'চোখ দিয়া পানি পড়ত।দুই-তিন দিন এভাবে থাকতে থাকতে একদিন রাতে কখন যেন মারা গেল মেয়েটা।মারা গেছে শুধু রক্ত যাইতে যাইতে।


একদিন খুব সকালে এল দুই কুত্তা,এসেই যে মেয়েটা শুয়েছিল তার কাছে যায়।গিয়েই তার কাপড় টান মেরে ফেলে দিল তাদের বন্দুকের মাথা দিয়ে। ... ঐ মেয়ের বুকে এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় তাদের জুতা দিয়ে লাথি মারে।এক সময় তার বুকের উপরে এক দুধের উপর,দুই দুধের উপর দুই পা দিয়ে দাঁড়িতে রইল।অন্যজন শুরু করল ধর্ষণ।ঐটা দেখে যে দাঁড়িয়েছিল সেও উত্তেজিত হয়ে পড়ে সে তখন বেদিশা হয়ে মুখের ভিতর শুরু করল।দুইজন মুখোমুখি হয়ে এইসব করছে।আর উল্লাসে বাঁচে না।একজনকে দেখে অন্যজন যেত দিশেহারা হয়ে।মেয়েটি একটি বস্তুর মত পড়ে আছে।একটু টু শব্দ করার সাহস নেই।

...তার পর একদিন যে মেয়েটি মাটিতে পড়ে ছিল তার কাছে এল তিন জন।তারা তাদের কাজ করছে।তার কিছুক্ষণ পর এল আবার কয়েকজন ঐ মেয়েটীর কাছে।ঐ মেয়েটির কাছে এমন ভাবে সবাই পড়ল যে মনে হচ্ছে গরু মরে পড়ে থাকলে যেভাবে শকুনগুলো চারপাশে বসে বসে মরা গরুর মাংস টেনে ছিড়ে খায়,ঠিক তেমনি করছে তাকে নিয়ে।একসময় তাদের মাঝে লেগে গেল ঝগড়া ঐ মেয়েকে নিয়ে।তারপর একজন উঠে চলে গেল,আবার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে এল।এসে তার একটা বুক কেটে নিল।তা দিয়ে আনন্দ করছে।আহারে মেয়ে,তার মরণও হচ্ছে না।এত কষ্ট দিয়ে তাদের ইচ্ছামতো আনন্দ উল্লাস করে চলেছে।আরো কয়েকজন আসে।তারা যাবার বেলায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গেল।দুই দিন পর আবার তারে নিয়ে আসে এবং আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে মেয়েটি পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।


কাপাসিয়ার মনোয়ারা বেগমের গল্পটি বলে আমি আমি শেষ করবো --


কাপাসিয়ার মনোয়ারা বেগম। তিনি এখন অর্ধপাগল অবস্থায় আছেন। মাঝে মাঝে আবার খুব ভালো কথা বলেন। তার বিয়ে হয় শামছুর সাথে, ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে। '৭১ এ স্বামী সহ ধরা পড়ে। তার চোখের সামনেই একদিন তার স্বামীকে মেরে ফেলে। তারপর এক সিপাহী তাকে সঙ্গে সঙ্গে-ক্যাম্পে ক্যাম্পে রাখতো, আর গণহারে ধর্ষণ করতো। শুধু তাই করেই ক্ষান্ত হয়নি। দেশ স্বাধীন হ...বার পর মনোয়ারাকে নিয়ে যায় পাকিস্তানের করাচি। করাচি আয়েশা কলোনীতে রেখে সেই সিপাহী মনোয়ারাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর প্রতি রাতেই বড় বড় অফিসারদের কাছে নিয়ে যেত। আস্তে আস্তে আরো বড় বড় জায়গায় নিয়ে যেত আর সারাদিন থাকতো বন্দী। এক সময় তাকে বিক্রি করে দুবাই, দুবাই থেকে ফ্রান্স, তারপর সৌদি আরবে, তারপর আবার ফ্রান্স, এভাবেই চলেছে তার উপর নির্যাতন ধর্ষণ। এক সময় যখন সে অচল হয়ে পড়ে, তাকে দিয়ে আর এই সব কাজ চলে না, তখন ফেলে দেয় রাস্তায়। সেই মনোয়ারা এক সময় সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে অর্ধ পাগল অবস্থায় বাংলাদেশে আসে। যখন সে পাকিস্তানের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কাঁদছে, তখন এক বাঙালির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তার কাছে মনোয়ারা চেয়েছিল তার জীবনের একটা ইচ্ছের কথা। সে মরার আগে যেন তার জন্মভূমি, প্রিয়দেশ, প্রিয়জনদের দেখতে পায়। তার এই আকুল আবদারটুকু সেই বাঙালি রেখেছিল। বহু চেষ্টা করে তার জীবনের এই একটা ইচ্ছা পূরণ করলেন সেই মনোয়ারাকে উদ্ধারকারী সাইফুল ইসলাম, দুই দেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে যোগাযোগ করে। ১৯৯১ কি ১৯৯২ সালের দিকে মনোয়ারা দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে এখন সে ভিক্ষা করে খায়। থাকার কোন জায়গা - জমি, ভিটা বাড়ি কিছু নেই।



আপনার চোয়াল কি শক্ত হয়ে আসছে? আপনি কি রেগে যাচ্ছেন? কেন? চল্লিশ বছর ধরে কোথায় ছিল আপনার এই ক্রোধ? আপনার চোখে জল কেন? এতদিন এই জল কোথায় জমিয়ে রেখেছিলেন? না বন্ধুরা, আজ আপনার কোন অধিকার নেই কাঁদার,অধিকার নেই ক্রোধান্বিত হবার।

শুধু একটু ভাবুন। একবার ভাবুন, দুইবার ভাবুন,প্ রয়োজন হলে আরো একবার ভাবুন।তারপর আপনার বিবেচনা। নির্দ্বিধায় ভুলে যেতে পারেন সব। টেলিভিশনে ক্রিকেট খেলা চলছে। আপনার পুত্রের সাথে, বন্ধুর সাথে বুকে-মুখে চাঁদ তারা এঁকে নাচতে নাচতে চলে যেতে পারেন খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে। আমি আপনাদের বাধা দেব না।আপনার ঘরের দরজায় শহীদ আফ্রিদির একটি ফুল ফিগার ছবি ঝুলিয়ে রেখে দেবেন আপনার কন্যার, বোনের আবদারে। হয়তোবা নিজের ইচ্ছেতে। আমি আপনাকে দেশপ্রেমের পাঠ দিতে আসবো না। শুধু আপনার বিবেক দেখবো। ধন্যবাদ .!.


( উপরের প্রত্যেকটি ঘটনা সত্য। সুরমা জাহিদের বীরাঙ্গনাদের কথা বই থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে )

আমারব্লগ এর Pritomdas এর ব্লগ থেকে নেয়া .!.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন